আমি গত ৮ বছর ধরে Social Media Marketing করছি। TikTok এখন শুধু মজার ভিডিওর জায়গা নয়, বরং ইনকামের বড় সোর্স।
২০২৫ সালে TikTok থেকে মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে, Right strategy জানা থাকতে হবে।
এই ব্লগে, আমি TikTok থেকে টাকা আয় করার ১০টি Practical উপায় শেয়ার করব।
প্রতিটি পদ্ধতি আমি নিজে টেস্ট করেছি। এখানে কোনো ফ্যান্টি কথা নেই, শুধু Real data এবং কাজের উপায়।
১. TikTok মনিটাইজেশন চালু করুন (TikTok Monetization Requirements)

TikTok Monetization চালু করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমে, আপনার অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে।
গত ৩০ দিনে আপনার ভিডিওতে ১,০০,০০০ ভিউ থাকতে হবে।
আমি যখন প্রথম মনিটাইজেশন চালু করি, তখন আমার ১৫,০০০ ফলোয়ার ছিল।
৩০ দিনে ১.৫ লাখ ভিউ পেয়েছিলাম। TikTok তখন আমাকে Automatically invite করেছিল Creativity Program Beta-তে যোগ দিতে।
মনিটাইজেশন চালু হলে, আপনার ভিডিওর ভিউ এবং এনগেজমেন্টের উপর টাকা পাবেন।
প্রতি ১০০০ ভিউতে ০.৫০ ডলার থেকে ১ ডলার পর্যন্ত আয় হয়। আপনি চাইলে ফ্রিলান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
২. TikTok ভিউ থেকে টাকা আয় করুন (How to Earn Money in TikTok Views)
TikTok-এ ভিউ বাড়ালেই ইনকাম বাড়ে। কিন্তু শুধু ভিউ বাড়ালেই হবে না, ভিডিওর এনগেজমেন্ট বাড়াতে হবে।
আমি লক্ষ্য করেছি, ১ মিনিটের বেশি দৈর্ঘ্যের ভিডিওতে মনিটাইজেশন বেশি হয়। কারণ, TikTok এখন লং-ফর্ম কন্টেন্টকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
গত মাসে, আমার একটি ভিডিও ৫ মিনিটের ছিল। সেটি ২ লাখ ভিউ পেয়েছিল। সেই ভিডিও থেকে আমি ২০০ ডলার আয় করেছি।
ভিউ বাড়ানোর জন্য হাই-কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করুন। ট্রেন্ডিং সাউন্ড, ক্যাপশন এবং হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
৩. TikTok-এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন (TikTok Earning Option Earn Money from TikTok)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং TikTok-এ ইনকামের দারুণ উপায়। আমি Amazon, Daraz এবং অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের প্রোডাক্ট প্রমোট করে প্রতি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করি।
প্রথমে, একটি নিশ অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। যেমন, ফ্যাশন, গ্যাজেট বা বিউটি। তারপর, ভিডিওতে প্রোডাক্ট রিভিউ করুন। ডেসক্রিপশনে অ্যাফিলিয়েট লিংক দিন।
আমার একটি ভিডিওতে ১০০০ ক্লিক পেয়েছিলাম। তার মধ্যে ২০ জন প্রোডাক্ট কিনেছিল। আমি কমিশন পেয়েছিলাম ৮০০০ টাকা।
৪. TikTok লাইভ থেকে টাকা আয় করুন (TikTok Earning App)
TikTok লাইভ স্ট্রিমিং থেকে ডোনেশন বা গিফ্ট পেতে পারেন। ভিউয়াররা আপনাকে “ডায়মন্ড” গিফ্ট দেবে। এই ডায়মন্ড টাকায় কনভার্ট করা যায়।
আমি প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার লাইভ করি। গত মাসে, ১৫,০০০ ডায়মন্ড পেয়েছি। যা প্রায় ১০,০০০ টাকার সমান। তাছাড়া ইনভেস্ট ছাড়া টাকা ইনকাম করার অনেক পদ্ধতি দেখতে পারেন।
লাইভে এনগেজিং কন্টেন্ট দিন। যেমন, Q&A, ট্রিক্স শেয়ার বা কমেডি।
৫. TikTok ইয়ার্নিং অ্যাপ ডাউনলোড করুন (TikTok Earning App Download)
TikTok-এর অফিসিয়াল “TikTok Creator Marketplace” অ্যাপ আছে। এখানে ব্র্যান্ডগুলো ক্রিয়েটরদের সাথে কাজ করে।
আমি এই অ্যাপে রেজিস্টার করেছি। গত ৬ মাসে ৫টি ব্র্যান্ড ডিল পেয়েছি। প্রতি ক্যাম্পেইনে ৫০০০-১০,০০০ টাকা আয় হয়েছে।
অ্যাপটি প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন। প্রোফাইল কমপ্লিট করুন। তারপর, ব্র্যান্ড ক্যাম্পেইনে অ্যাপ্লাই করুন।
৬. ফ্রি TikTok অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম (TikTok Earning Account Free)
অনেকে মনে করে, TikTok অ্যাকাউন্টে ইনভেস্টমেন্ট লাগে। কিন্তু, আমি প্রুভ করেছি ফ্রি অ্যাকাউন্ট থেকেই ইনকাম সম্ভব।
আমার একটি অ্যাকাউন্টে কোনো প্রোমোশন খরচ করিনি। শুধু কন্টেন্ট এবং কনসিস্টেন্সি রাখতাম। ৩ মাসে ৫০,০০০ ফলোয়ার হয়েছিল।
ফ্রি অ্যাকাউন্টে টাকা আয় করতে হলে, নিয়মিত পোস্ট করুন। অডিয়েন্সের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করুন।
৭. TikTok-এ স্পনসরশিপ পেতে চান? (টিকটক মনিটাইজেশন কিভাবে চালু করবো)

স্পনসরশিপ পেতে হলে, আপনার প্রোফাইল প্রফেশনাল হতে হবে। ব্র্যান্ডগুলো ক্রিয়েটরদের খোঁজে যারা তাদের প্রোডাক্ট সেল করতে পারে।
আমি প্রথম স্পনসরশিপ পেয়েছিলাম একটি মোবাইল কোম্পানি থেকে। তারা আমার ভিডিওতে তাদের ফোন ফিচার করাতে চেয়েছিল। আমি ১৫,০০০ টাকা পেয়েছিলাম।
স্পনসরশিপ পেতে, নিজের নিশে অথরিটি বিল্ড করুন। মেইল দিয়ে ব্র্যান্ডদের কন্ট্যাক্ট করুন।
৮. বাংলাদেশ থেকে TikTok মনিটাইজেশন (TikTok Monetization in Bangladesh)
বাংলাদেশে TikTok মনিটাইজেশন এখনও লিমিটেড। তবে, VPN ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পারেন।
আমি US-এর Creativity Program Beta-তে কাজ করি। মাসে ৩০০-৫০০ ডলার আয় হয়।
বাংলাদেশে সরাসরি টাকা উঠাতে সমস্যা হলে, Payoneer বা বিকাশ ব্যবহার করুন।
৯. TikTok-এ ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করুন
আমি আমার একটি ই-বুক TikTok-এ প্রমোট করেছি। ৩ মাসে ২০০ কপি বিক্রি হয়েছে। প্রতি কপিতে ৫০০ টাকা করে আয় হয়েছে ১ লাখ টাকা।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন, ই-বুক, প্রেসেট, বা কোর্স TikTok-এ ভালো সেল হয়।
১০. TikTok-এ কনসাল্ট্যান্সি সার্ভিস দিন
আমি এখন TikTok মার্কেটিং কনসাল্ট্যান্ট। যারা TikTok-এ আসতে চান, তাদের হেল্প করি। প্রতি ক্লায়েন্ট থেকে ৫০০০-১০,০০০ টাকা আয় করি।
আপনার স্কিল থাকলে, অন্যদের শেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করুন। দরকার হলে 30টি ইনকামের নতুন পদ্ধতি দেখতে পারেন।

কোন পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো? (Final Thoughts)
TikTok থেকে টাকা আয় করার অনেক উপায় আছে। তবে, সবচেয়ে ভালো উপায় হলো মনিটাইজেশন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আমি প্রথম ৩ মাসে শুধু ভিউ এবং স্পনসরশিপ থেকে ২০,০০০ টাকা আয় করেছিলাম।
আপনার যদি ১০,০০০ ফলোয়ার থাকে, তাহলে মনিটাইজেশন চালু করুন। না থাকলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করুন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কনসিস্টেন্সি। আমি প্রথম মাসে শুধু ১০০০ টাকা আয় করেছিলাম। কিন্তু, ৬ মাস পর মাসে ১ লাখ টাকা আয় শুরু করি।
TikTok-এ সাকসেস পেতে সময় লাগে। কিন্তু, একবার টার্গেট অডিয়েন্স পেলে, ইনকাম অটোমেটিক বেড়ে যায়।
আজই একটি প্ল্যান তৈরি করুন। প্রতিদিন ১টি ভিডিও আপলোড করুন। দেখবেন, ৩ মাসের মধ্যে ফলাফল পাচ্ছেন।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে, কমেন্টে জানান। আমি হেল্প করব।
Happy TikToking! 🚀
I found the topic from google search. Totally informative article. Thank you for write this kind of articles.