WordPress কি? ওয়েবসাইট বানানো সহজ ও নিরাপদ কেন

আমি যখন প্রথম অনলাইনে ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভাবি, তখন সত্যি বলতে ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।

মনে হতো, ওয়েবসাইট বানানো বুঝি শুধু কোডিং জানা লোকদের কাজ।

তবে এখন ৩ বছরের অভিজ্ঞতার পর বলতে পারি, ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে সেই ম্যাজিক প্ল্যাটফর্ম, যেটার সাহায্যে আমি নিজে ওয়েবসাইট বানিয়েছি একদম সহজে, কোনো কোডিং ছাড়াই।

আজকের এই Free Guide-এ তোমাকে বলবো ওয়ার্ডপ্রেস কি, কেন এটা দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো সহজ এবং কেন এটা এত নিরাপদ। চলো শুরু করি।

WordPress কি?

ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটা ফ্রি এবং ওপেন সোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)।

সহজ ভাষায় বললে, ওয়ার্ডপ্রেস এমন একটা সফটওয়্যার যেটা দিয়ে তুমি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবে।

কোনো কোড শেখার দরকার নেই। শুধু কয়েকটা ক্লিক করলেই একটা প্রফেশনাল ওয়েবসাইট দাঁড়িয়ে যাবে।

২০০৩ সালে ওয়ার্ডপ্রেস প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। তখন শুধু ব্লগিং এর জন্য ব্যবহৃত হতো।

এখন পুরো ইন্টারনেটের প্রায় ৪৩% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি। Source: W3Techs Report 2025 এই সংখ্যাই প্রমাণ করে, WordPress কতোটা জনপ্রিয়।

WordPress দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো কেন এত জনপ্রিয়

WordPress কি
WordPress কি

আমি যখন প্রথম WordPress দিয়ে কাজ শুরু করি, তখন দেখি পুরো সিস্টেমটাই ইউজার ফ্রেন্ডলি।

Themes, Plugins আর Easy Dashboard এর কারণে WordPress দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো যেন খেলনার মতো সহজ মনে হয়।

শুরুতে আমি ভাবতাম হয়তো কঠিন হবে। কিন্তু দুই দিন পরই আমার ধারনা বদলে যায়।

আমি একটা ফ্রি থিম ইনস্টল করে দেখি, কয়েক ক্লিকেই সাইটের লুক বদলে ফেলা যায়।

তারপর Plugin খুঁজতে গিয়ে বুঝি, Contact Form থেকে SEO পর্যন্ত সব কিছু শুধু Plugin ইন্সটল করেই ম্যানেজ করা যায়।

আমি শুধু নিজেই না, আজকের দিনে ৮০% ছোট ব্যবসার Website WordPress দিয়ে তৈরি হয়। Source: W3Techs Report 2025 অনুযায়ী।

কারণ এখানে সময় কম লাগে, খরচও কম হয়। আরেকটা বড় কারণ হলো, WordPress এর জন্য হাজার হাজার ফ্রি রিসোর্স আর কমিউনিটি সাপোর্ট পাওয়া যায়।

কোনো সমস্যা হলে YouTube বা Forum-এ সার্চ করলেই সমাধান পাওয়া যায়।

আমি যখন প্রথম ক্লায়েন্টের জন্য একটা ছোট বিজনেস সাইট বানাই WordPress দিয়ে, তখন দেখি মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের পুরো অনলাইন Activity তৈরি হয়ে গেলো।

এই দ্রুত কাজের সুবিধাই WordPress কে ছোট ও মাঝারি ব্যবসার কাছে এত জনপ্রিয় করেছে।

এমনকি ২০২৫ সালের Statista রিপোর্ট বলছে, ছোট ব্যবসার ৬৭% মালিক WordPress কে তাদের প্রথম চয়েস হিসেবে নেয়।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, যদি তুমি WordPress শিখে ফেলো, তাহলে খুব সহজেই নিজের বা অন্যের জন্য প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট বানাতে পারবে।

আর WordPress এর ইকোসিস্টেম এত শক্তিশালী হয়েছে যে, আজকের দিনে বড় বড় কোম্পানিগুলোও এই প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিচ্ছে। তাই WordPress এখন শুধু সহজ নয়, বরং Safe আর Reliable একটা সলিউশন।

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানানোর সুবিধা

২০২৫ সালে এসে WordPress শুধু জনপ্রিয় নয়, বরং আরও আধুনিক এবং সহজ হয়েছে।

যারা একদম নতুন, তাদের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম একটি Game Changer।

আমি নিজে গত ৩ বছর ধরে WordPress ব্যবহার করছি, এবং এই সময়ে এর অনেক আপডেট, পরিবর্তন, ও নতুন ফিচার দেখেছি।

বিশেষ করে যারা Coding জানে না, তাদের জন্য WordPress এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেটা দিয়ে খুব সহজেই প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট বানানো যায়।

Gutenberg Editor এখন অনেক বেশি সহজবোধ্য হয়েছে। এটি একটি Block-Based Editor, যেখানে তুমি কনটেন্ট Drag & Drop করে যুক্ত করতে পারো।

আমি নিজেই এখন কোড না জেনেও সুন্দর ডিজাইন করতে পারি।

এই Editor এর সাহায্যে শুধু Text না, Image, Video, Gallery, Button – সবকিছু সহজেই Add করা যায়। নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য এটা ভীষণ সহায়ক।

WordPress এখন Built-in SEO Tools যুক্ত করেছে, যা ওয়েবসাইটকে Google-এ Rank করাতে সাহায্য করে।

WordPress SEO Technique

আমি যখন RankMath SEO Plugin ব্যবহার করি, তখন দেখি কীভাবে Meta Description, Title Tag, Focus Keyword ইত্যাদি খুব সহজেই অপটিমাইজ করা যায়।

এমনকি, SEO Suggestions ও পাওয়া যায়, যেন Google এ ভালো অবস্থানে থাকা যায়।

Mobile Optimization এখন WordPress এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

অনেক মানুষ এখন মোবাইল থেকে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে, তাই একটি Responsive Design থাকা খুবই জরুরি।

WordPress Themes এখন এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে Mobile, Tablet, আর Desktop—তিনটারই জন্য উপযুক্ত হয়।

আমি নিজে যখন নিজের ক্লায়েন্টদের ওয়েবসাইট বানাই, তখন দেখি তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় মোবাইল ভার্সনের দিকেই।

আরেকটি সুবিধা হলো—Security। WordPress 2025 সালে নিয়মিত Security Update দেয়, যেটা হ্যাকিং এর ঝুঁকি কমায়।

Wordfence বা Sucuri এর মতো প্লাগইন ব্যবহার করলে ওয়েবসাইট আরও নিরাপদ হয়। SSL সার্টিফিকেট যুক্ত করাও খুব সহজ।

সব মিলিয়ে বলতে পারি, WordPress এখন এতটাই শক্তিশালী এবং সহজ যে, আমি নিজেই অনেকগুলো প্রজেক্ট হাতে নিচ্ছি কারণ কাজ শেষ করতে সময় কম লাগে এবং ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টিও বেশি থাকে।

যদি তুমি এখনো শুরু না করে থাকো, তাহলে ২০২৫ সালেই এটা করা উচিত।

WordPress দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো এখন আর কঠিন কিছু না—এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।

WordPress কতটা সহজ?

যখন আমি প্রথম ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভাবি, তখন সত্যি বলতে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম।  

মনে হচ্ছিল এটা বুঝি অনেক জটিল কিছু, যেটা শুধু প্রফেশনালদের জন্য।

কোডিং তো দূরের কথা, আমি HTML বা CSS এর একটা ট্যাগও চিনতাম না। কিন্তু curiosity থেকে YouTube এ WordPress Website বানানোর ভিডিও দেখতে শুরু করি। সেখান থেকেই আমার যাত্রা শুরু।

প্রথমেই একটা ফ্রি ডোমেইন আর সস্তা হোস্টিং নিয়ে WordPress ইনস্টল করি।

প্রথম ১-২ ঘণ্টা কিছুই বুঝি না। Dashboard খুলে মনে হয়েছিল কোনো স্পেসশিপের কন্ট্রোল প্যানেল।

কিন্তু ধীরে ধীরে যখন দেখি, সব অপশন একদম Clearly সাজানো, তখন সাহস পাই।

Theme Install is very Easy

প্রথমে একটা Theme Install করি — “Astra”। এটা Lightweight আর Simple।

এরপর Page বানানো শুরু করি, Header, Footer, এবং Menu Add করি।

তখনো Coding জানতাম না, তাই Plugin গুলোর উপর ভরসা করেছিলাম।

Elementor Page Builder ছিল আমার সবচেয়ে বড় সহায়ক। Drag & Drop করে শুধু Section বসালেই Layout তৈরি হয়ে যায়।

Text লিখা, Image Add করা — সবই এত সহজ ছিল যে মনে হয়েছিল, আমি Photoshop এ কাজ করছি।

Plugin ইনস্টল করে Contact Form বানাই, Gallery বানাই, এমনকি Social Media Button ও যুক্ত করি।

এই পুরো অভিজ্ঞতা আমার মধ্যে একটা ভরসা তৈরি করে। আমি বুঝে যাই, Coding ছাড়াও প্রফেশনাল সাইট বানানো সম্ভব।

আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, পুরো কাজটা শেষ করতে মাত্র দুই দিন লেগেছিল! তাও YouTube দেখে দেখে।

এই কাজের পর আমার আত্মবিশ্বাস এতটাই বেড়ে যায় যে, আমি অন্যদের সাইট বানিয়ে দিতে শুরু করি।

অনেকে ভাবেই না যে এটা আমি কোডিং ছাড়া করেছি। WordPress আমাকে শুধু একটা সাইট বানানোর সুযোগ দেয়নি, এটা আমাকে Digital জগতে একটা দারুণ শুরু দিয়েছে।

তাই আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি—WordPress সত্যিই Beginner Friendly।

তুমি যদি একদম নতুন হও, Coding না জানো, তবুও WordPress দিয়ে তুমি নিজের সাইট বানাতে পারবে।

শুধু একটু ধৈর্য লাগবে, আর শেখার আগ্রহ। তাহলেই তুমি একদিন নিজের ওয়েবসাইটের গর্বিত মালিক হয়ে উঠবে, যেমনটা আমি হয়েছি।

আরও পড়ুন…

WordPress Website এর ডিজাইন করা এত সহজ কেন?

WordPress কি
WordPress কি

যখন আমি প্রথম নিজের ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে যাই, তখন ভেবেছিলাম এটা বুঝি অনেক জটিল হবে।

ডিজাইন মানেই গ্রাফিক্স, কোডিং, ফন্ট, কালার প্যালেট—এইসব মিলিয়ে একটা বিশাল ঝামেলা।

কিন্তু WordPress ব্যবহার করার পর বুঝলাম, ব্যাপারটা একদমই তেমন না। বরং, এটা এত সহজ আর সোজা ছিল যে, আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছিলাম।

WordPress এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো—এখানে হাজার হাজার Free এবং Premium Theme পাওয়া যায়।

আমি প্রথম যেই Theme ব্যবহার করি, সেটা ছিল “Astra”। এই Theme টা শুধু দেখতে সুন্দরই না, বরং Mobile Friendly এবং Super Fast।

একটা নতুন ব্যবহারকারীর জন্য এমন Lightweight Theme একটা আশীর্বাদ।

শুধু Install করে, কিছু Basic Setting করে দিলেই দেখতে একদম প্রফেশনাল লুকের ওয়েবসাইট দাঁড়িয়ে যায়।

তারপর আসে Page বানানোর বিষয়। আমি Elementor Page Builder ব্যবহার করি, আর মাঝে মাঝে Gutenberg Editor-ও ব্যবহার করি।

Elementor একদম Drag & Drop সিস্টেমে কাজ করে। আমি চাইলে Text Box টেনে এনে বসাই, আবার Image Section এনে ছবিও যুক্ত করি।

Basic Of WordPress

Code লেখার কোনো দরকার হয় না। এমনকি, Page বানানোর সময় Live Preview-ও দেখা যায়, তাই একদম রিয়েল টাইমে কাজটা ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা বুঝে নেওয়া যায়।

আরেকটা বিষয় যেটা আমার কাজে অনেক সাহায্য করেছে, সেটা হলো Pre-built Templates।

Elementor বা অনেক Theme এর সাথে এমন অনেক ডিজাইন দেয়া থাকে যেগুলো এক ক্লিকে Import করা যায়।

তারপর নিজের মতো Text আর Image বসিয়ে দিলেই কাজ শেষ। কোনো Designer হায়ার করতে হয় না, নিজেরই Designer হয়ে যাই।

সবচেয়ে ভালো লাগে যেটা, তা হলো এই ডিজাইন করা অনেকটা Creative Game এর মতো লাগে।

ক্লান্তিকর না, বরং মজা লাগে। নিজের Website এর প্রতিটা অংশ নিজের মতো করে সাজাতে পারা একটা Satisfaction দেয়।

তাই আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, WordPress দিয়ে ডিজাইন করা শুধু সহজ না, বরং মজার।

এতে সময় কম লাগে, খরচ কম হয়, আর প্রফেশনাল লুকের সাইট বানানো যায় একদম নিজের হাতে।

এজন্যই তো WordPress এখন হাজার হাজার নতুন Website Owner আর Freelancer দের প্রথম পছন্দ।

WordPress Security 2025: ওয়েবসাইট কতটা নিরাপদ হয়?

প্রথম দিকে আমি WordPress কে একটু সন্দেহের চোখেই দেখতাম। কারণ, এটা তো ফ্রি!

মাথায় আসত—”ফ্রি প্ল্যাটফর্ম মানেই কি নিরাপত্তা কম?”

কিন্তু নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে, তাতে কন্টেন্ট আপলোড করে এবং ব্যবহারকারীদের ভিজিট করতে দেখে আমি বুঝে গেছি—WordPress এখন নিরাপত্তার দিক দিয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।

২০২৫ সালের WordPress এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যেখানে Regular Security Updates আসে।

মানে, যদি কোনো vulnerability বের হয়, WordPress Team খুব দ্রুত সেটা ফিক্স করে আপডেট দিয়ে দেয়। আমি নিজে দেখেছি, মাসে প্রায় একাধিক আপডেট আসে শুধু নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য।

যারা Update Ignore করে, তারাই মূলত Hack এর শিকার হয় বেশি। আমি ব্যক্তিগতভাবে Wordfence Security Plugin ব্যবহার করি।

এটা Install করার পর থেকেই একটা Real-Time Threat Defense সিস্টেম কাজ করে।

কে Login করতে চেষ্টা করছে, কে কোথা থেকে আসছে, কোন IP অ্যাকসেস করছে—সব কিছু দেখা যায় Dashboard থেকেই।

একবার তো এমন হয়েছিল, কেউ আমার Admin Panel এ Login করার চেষ্টা করেছিল, Wordfence তখনই Mail পাঠিয়ে আমাকে Alert করে দেয়।

এছাড়া আমি সব সাইটে SSL Certificate Active রাখি। HTTPS ছাড়া এখনকার দিনে সাইট চালানো অনেকটাই বিপজ্জনক।

SSL শুধু ডেটা এনক্রিপ্ট করে না, Google Ranking এও Positive Impact ফেলে।

আর WordPress এখন Let’s Encrypt এর মাধ্যমে ফ্রিতেও SSL Certificate ইন্টিগ্রেট করা যায়, যেটা দারুণ কাজের।

Two-Factor on WordPress

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো Two-Factor Authentication। আমি Google Authenticator ব্যবহার করি।

Password ছাড়াও একটা OTP দিতে হয় Login করতে, যেটা Website এর নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

এই অভিজ্ঞতা থেকে আমি বুঝেছি—WordPress এখন আর কোনো সাধারণ ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নয়।

এটা একদম Professional Level Website তৈরি করার মতোই নিরাপদ।

শুধু Plugin ভালোটা বেছে নিতে হবে, Update ঠিকমতো দিতে হবে আর Strong Password ব্যবহার করতে হবে।

তাহলেই WordPress Website থাকবে Hacker দের থেকে একদম সুরক্ষিত।

Secure Website মানেই Trusted Business—এই কথাটা আজ আমি বিশ্বাস করি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই।

আরও পড়ুন…

কেন WordPress Beginners দের জন্য Best Platform

আমি নিজে যখন নতুন ছিলাম, তখন WordPress আমাকে যেমন Flexibility দিয়েছে, তেমনি Unlimited Possibilityও দিয়েছে।

Coding না জানলেও Website Customize করতে পারতাম।

Free Tutorials, Community Support আর Easy Customization এর জন্য WordPress এখনো Best Choice।

বিশেষ করে যারা Freelancing বা Personal Branding শুরু করতে চায়, তাদের জন্য WordPress Ideal Platform।

WordPress Website তৈরি: কী কী মাথায় রাখা দরকার

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানানোর সময় কয়েকটা বিষয় মনে রাখতে হয়। ভালো Hosting বেছে নিতে হবে।

Strong Password ব্যবহার করতে হবে। Regular Backup রাখতে হবে।

Trusted Plugin আর Theme ব্যবহার করতে হবে। আমি SiteGround Hosting আর RankMath SEO Plugin ব্যবহার করি, যেগুলো দারুণ পারফর্ম করে।

আমার অভিজ্ঞতা: ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে প্রথম ক্লায়েন্টের কাজ করা

যখন আমি প্রথম WordPress শিখি, তখন আমার কাছে মনে হতো, এটা একটা নতুন পথের সূচনা।

আমি তখন নিজের ব্লগ তৈরি করার পর মনে করলাম, কেন না আরেকটু বড় কিছু করি?

আমি Freelancing শুরু করার চিন্তা করলাম। তখন, আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ক্লায়েন্ট পাওয়া।

তবে, আমি জানতাম যে, WordPress আমাকে সে সুযোগ দেবে।

প্রথমবার যখন আমি আমার প্রথম ক্লায়েন্টের কাজটি নিই, তখন পুরো প্রক্রিয়া ছিল আমার জন্য একধরনের পরীক্ষা।

আমার ক্লায়েন্টের জন্য একটি ছোট Business Website বানানোর কাজটি ছিল।

আমি ভাবলাম, শুরুটা যেন সহজ হয়। তবে, আমি জানতাম, আমি যদি WordPress ব্যবহার করি, তাহলে কাজটা হবে দ্রুত এবং প্রফেশনালভাবে।

Theme নির্বাচন থেকে শুরু করে, প্লাগিন সেটআপ করা, পেইজ কাস্টমাইজ করা—সব কিছুই সহজ ছিল।

কিছুদিনের মধ্যে, ক্লায়েন্টের সাইটটি প্রস্তুত হয়ে গেলো। আমি প্রথমে একটু চিন্তিত ছিলাম, কারণ এটা ছিল আমার প্রথম প্রজেক্ট, তবে আমার সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যাওয়াতে ক্লায়েন্ট খুবই খুশি হয়েছিল।

তাদের সাইটটি মোবাইল-ফ্রেন্ডলি এবং SEO optimized ছিল, যা তাদের ব্যবসার জন্য বেশ কার্যকরী ছিল।

তারা আমাকে ধন্যবাদ জানায় এবং জানিয়েছিল যে, তাদের সাইটটি একদম তাদের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে। এই সাফল্য আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।

Success In WordPress

এই প্রথম সাফল্যের পর, পরের দুই মাসে আরও তিনটি প্রজেক্ট পেয়েছিলাম।

এটি ছিল একটি বড় লাফ আমার freelancing ক্যারিয়ারের জন্য।

WordPress এর সহজলভ্যতা এবং প্রফেশনাল ফলাফল পাওয়া, এই দুটি বিষয়ই আমাকে সেই সময়ে অনেক সাহায্য করেছিল।

আমি বুঝতে পারলাম যে, WordPress দিয়ে কাজ করলে সময়ও কম লাগে এবং আয়ও বেশি হয়।

এমনকি, ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার সময় তাদের প্রয়োজনে দ্রুত পরিবর্তন এবং কাস্টমাইজেশন করা সম্ভব ছিল।

এটি ছিল আমার Freelancing ক্যারিয়ারের একটি টার্নিং পয়েন্ট।

WordPress আমার ক্যারিয়ারের সাথে সম্পর্কিত বহু সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

একদিকে যেমন সাইট বানানো সহজ হয়েছে, তেমনি এটাও আমাকে অল্প সময়ে ভালো পারফরম্যান্স দিতে শিখিয়েছে।

WordPress ব্যবহার করে, একদিকে আমি প্রফেশনাল সাইট তৈরি করতে পেরেছি, অপরদিকে ক্লায়েন্টদের সাথে সম্পর্কেও শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে।

আজও, যখনই আমি freelancing করি, WordPress আমার প্রথম পছন্দ।

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে যা যা প্রয়োজন হয়

WordPress দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য কিছু মৌলিক জিনিসের প্রয়োজন হয়।

 প্রথমত, তোমাকে একটি Domain কিনতে হবে। Domain হল তোমার সাইটের ঠিকানা, যেমন “example.com”।

এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তোমার ব্র্যান্ডের পরিচয় এবং সাইটের সহজে মনে রাখা যায় এমন একটি নাম হতে হবে।

এরপর, Hosting নির্বাচন করতে হবে। Hosting হলো যেখানে তোমার সাইটের সব ফাইল রাখা হবে এবং যেখানে ব্যবহারকারীরা তোমার সাইট দেখতে পাবে।

অনেক ধরনের Hosting আছে, তবে আমি SiteGround বা Bluehost এর মতো জনপ্রিয় হোস্টিং পরিষেবাগুলোর পরামর্শ দিই। এই হোস্টিংগুলো দ্রুত এবং নিরাপদ।

তারপর, তুমি একটি Theme নির্বাচন করতে হবে।

WordPress এ হাজার হাজার ফ্রি এবং প্রিমিয়াম থিম রয়েছে।

Theme হলো সাইটের ডিজাইন এবং লেআউট। আমি সাধারণত Astra বা OceanWP থিম ব্যবহার করি, কারণ এগুলো অনেক দ্রুত এবং মোবাইল-ফ্রেন্ডলি।

থিম নির্বাচন করার পর, তোমাকে সেটি Customize করতে হবে, যাতে সাইটটি তোমার প্রয়োজন অনুসারে হয়ে ওঠে।

থিমের মধ্যে তোমার ব্র্যান্ডিং, রঙ, ফন্ট, লেআউট—সব কিছু তোমার পছন্দমত করা যাবে।

এরপর, কিছু দরকারি Plugin ইন্সটল করতে হবে। প্লাগইন হচ্ছে ছোট ছোট টুলস যা তোমার সাইটের কার্যকারিতা বাড়ায়।

যেমন, Yoast SEO প্লাগইন দিয়ে তুমি সাইটের SEO উন্নত করতে পারো, Contact Form 7 দিয়ে যোগাযোগ ফর্ম তৈরি করতে পারো, এবং WooCommerce দিয়ে তুমি ই-কমার্স সাইট বানাতে পারো।

আমি এইসব প্লাগইনগুলো ব্যবহার করি, কারণ এগুলো সাইটের ফিচারগুলো আরও শক্তিশালী করে।

সব কিছু ঠিকঠাক করার পর, তোমার সাইট Publish করে দিতে হবে।

আর যখন সাইট পাবলিশ হবে, তখন তুমি পৃথিবীজুড়ে যে কেউ তোমার সাইট দেখতে পারবে।

আমার শেষ কথা

আমার অভিজ্ঞতা বলছে, এই পুরো প্রক্রিয়াটি যদি মনোযোগ দিয়ে করা হয়, তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রফেশনাল সাইট তৈরি করা সম্ভব।

WordPress এর ব্যবহার সহজ, এবং তোমাকে কোডিং শিখতে হবে না। আজই শুরু করো তোমার WordPress ওয়েবসাইটের যাত্রা!

এইভাবেই WordPress আমার এবং হাজারো মানুষের জন্য Website বানানো সহজ আর নিরাপদ করেছে। এখন তোমার পালা। আজই শুরু করো তোমার WordPress Website Journey!

1 thought on “WordPress কি? ওয়েবসাইট বানানো সহজ ও নিরাপদ কেন”

Leave a Reply

Discover more from BanglaiBlog.Com

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading