সফল উদ্যোক্তা হতে চান? জেনে নিন সেরা পদ্ধতি

সফল উদ্যোক্তা
সফল উদ্যোক্তা

আপনি কি উদ্যোক্তা হতে চান? উদ্যোক্তা হওয়া অনেক ভালো কারণ, এতে আপনি নিজের কাজ নিজে করতে পারেন। একজন উদ্যোক্তা নতুন কিছু শুরু করে এবং নিজের লক্ষ্য পূরণ করার চেষ্টা করে।

এতে স্বাধীনতা পাওয়া যায় এবং নিজের ব্যবসা থেকে আয় করার সুযোগ মেলে।

সফল উদ্যোক্তা অন্যদের জন্য উদাহরণ হতে পারে এবং সমাজে ভালো প্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়া, ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন নতুন দক্ষতা শেখা যায়, যা জীবনে অনেক উপকারে আসে।

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র

সফল উদ্যোক্তা
সফল উদ্যোক্তা

Successful entrepreneur হতে হলে আপনাকে সময়ের প্রতিটি মিনিট হিসাব করে কাজ করতে হবে।

সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তা হলেন তিনি, যিনি ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে ১৪৪০ মিনিট হিসাব করে কাজ করেন। তাদের কাছে সময়ের গুরুত্বই সবচেয়ে বেশি।

বিল গেটসকে নিয়ে একটি গল্প আছে। একবার তার ব্রিফকেস থেকে কয়েক হাজার ডলার পড়ে গিয়েছিল, কিন্তু তিনি সেটি তোলার চেষ্টা করেননি।

কারণ, সেই টাকা তুলতে যে সময় লাগত, সেই সময় কাজে লাগিয়ে তিনি আরও বেশি আয় করতে পারতেন।

সফল উদ্যোক্তা হতে হলে প্রতিটি মিনিটের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

যদি এক ঘণ্টা কাজ করেন, তবে নিশ্চিত করুন যেন পুরো ৬০ মিনিটই কাজে লাগে।

একই সময়ে শুধু একটি কাজে মনোযোগ দিন

যদি একই সময়ে একটি কাজ করেন, তাহলে আপনি গভীর মনোযোগ দিতে পারবেন। যারা এভাবে কাজ করেন, তারা একটানা দুই ঘণ্টা গভীর কাজে নিমগ্ন থাকতে পারেন।

এই সময় তারা কারো সাথে কথা বলেন না এবং অন্য কোনো দিকে মনোযোগ দেন না।

এর ফলে তাদের কাজের মান অনেক বেড়ে যায়।

ক্যালেন্ডার চিহ্নিত করে কাজ করুন – সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র

যারা সফল, তারা জীবনের ছোট কাজগুলোকেও দৈনন্দিন শিডিউলের মধ্যে রাখেন।

তবে এতে কিছু সমস্যা হতে পারে। যদি সব কাজ সিডিউল করার চেষ্টা করেন, তবে অনেক সময় অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারবেন না।

তাই ছোট কাজগুলো শিডিউল না করে বরং অতি প্রয়োজনীয় কাজগুলোর তালিকা তৈরি করুন।ছোট কাজগুলো শিডিউল করলে মানসিক চাপ বাড়ে।

সফল মানুষরা দিনের ছোট কাজগুলো শিডিউলে না রেখে ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করেন।

তারা কোন তারিখে কোন কাজ শেষ করবেন, তা সিডিউল করে রাখেন এবং কেবল গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোই চিহ্নিত করেন।

আরও পড়ুন… Android ডিভাইসের সুরক্ষায় সেরা ১০টি Antivirus

তারা ঠিক করেন যে, ওই নির্দিষ্ট কাজগুলোই করবেন।কোনো কাজ ফেলে রাখার আগে ভেবে দেখুন, তা ফেলে রাখলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।

সফল মানুষরা কাজ শুরুর আগেই তার সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে ধারণা করতে পারেন।

যখনই কোনো কাজে অলসতা আসে, তখনই কাজটির ফলাফল কল্পনা করুন।

ভাবুন, এই কাজটি না করলে বা ঠিক সময়ে না করলে কী ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। এই চিন্তা আপনাকে কাজ করতে উদ্দীপ্ত করবে।

ব্যবসার বাইরেও আপনার একটি জীবন রাখুন

সফল উদ্যোক্তা
সফল উদ্যোক্তা

শুধু কাজ বা ব্যবসার মধ্যেই জীবনের সব সময় ব্যয় করবেন না। আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও সময় দিন।

পরিবার, বন্ধু এবং নিজের শখের জন্য সময় বের করুন।

এতে মানসিকভাবে চাঙা থাকবেন এবং আপনার কাজে আরও ভালো মনোযোগ দিতে পারবেন।

ব্যবসার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ব্যস্ত থাকতে হবে, তবে পারিবারিক সম্পর্কগুলোকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

যদি সফল ব্যক্তিদের, যেমন জ্যাক মা বা অন্যান্য বিলিয়নারদের দিকে তাকাই, দেখা যাবে যে তারা তাদের বেশিরভাগ অর্থ মানব কল্যাণে ব্যয় করেছেন।

কেউ দীর্ঘ ভ্রমণে যান, কেউ তাদের মূল্যবান সময় পারিবারিক অনুষ্ঠানে ব্যয় করেন।

পারিবারিক বন্ধন ও ভালোবাসা ছাড়া মানুষের জীবন অর্থহীন। তাই ব্যবসার পাশাপাশি পারিবারিক সম্পর্কগুলোকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

মিটিংয়ে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করবেন না

আসলে কার্যকর মিটিং এক ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। অনেকেই মিটিং করতে অনেক সময় ব্যয় করেন, যার ফলে কাজের জন্য সময় কমে যায়।

তাই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং তাড়াতাড়ি কাজে ফিরে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো।

না বলতে শিখুন

ওয়ারেন বাফেট বলেছিলেন, “সাধারণ সফল মানুষ এবং অসাধারণ সফল মানুষের মধ্যে পার্থক্য হলো, অসাধারণ সফলরা প্রায় সবকিছুতেই ‘না’ বলেন।”

আপনি হয়তো জানেন, ৮০/২০ রুলস অনুযায়ী, আপনার সফলতার জন্য ২০% কাজ দায়ী।

যদি আপনি ৮০% কাজকে কম গুরুত্ব দেন এবং ২০% গুরুত্বপূর্ণ কাজ বেছে নিতে পারেন, তাহলে আপনি কম কাজ করেও সফল হতে পারবেন।

সবকিছু একা করতে যাবেন না

আপনার কাজগুলো ভাগ করে নিতে হবে। সব কাজ একা করার চেষ্টা করবেন না।

সফল উদ্যোক্তারা সবসময় নিজেকে প্রশ্ন করেন, “আমি এই কাজটি কীভাবে সহজে করতে পারি?”

সব দায়িত্ব একা কাঁধে না নিয়ে কাজগুলো অন্যদের ওপর ভাগ করে দিন এবং তাদের কাজে নজর রাখুন।

এটি আপনাকে আরও বেশি কাজ করার সুযোগ দিবে।

আরও পড়ুন… Cloud computing: যে ৫টি কারণে আপনার ব্যবসায় দরকার

একই কাজ দুইবার করবেন না

একটি কাজ শুরু করার পর, সেটি শেষ করে তারপর পরবর্তী কাজ শুরু করুন। এক কাজ করার সময় অন্য কাজ করা ঠিক নয়, কারণ এতে কাজের মান কমে যায়।

কাজ শুরু করার আগে একটি ভালো রুটিন তৈরি করুন এবং সে অনুযায়ী চলুন। যদি আপনি সময় ভাগ করে কাজগুলো পরিকল্পনা করতে পারেন, তাহলে দিনের শেষে দেখবেন সব কাজ সুন্দরভাবে শেষ হয়ে গেছে।

By Nazmul Hossain

আসসালামু আলাইকুম, আমি মোঃ নাজমুল হোসেন। প্রযুক্তিকে ভালোবেসে প্রযুক্তির পথে চলার চেষ্টা করি। প্রযুক্তির প্রতি ভালবাসা আমাকে একজন ব্লগার হিসেবে গড়ে তুলেছে

Leave a Reply

Discover more from BanglaiBlog.Com

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading